Thursday, October 8, 2015
ভ্রমণে বমি এড়াতে কী করবেনঃ
ভ্রমণের সময় অনেকের বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরার সমস্যা হয়। এটাকে বলা হয় মোশন সিকনেস বা গতির অসুস্থতা। গতির (ভ্রমণ) জন্য কানের ভেসটিবুলার অংশের সমস্যার ফলে এই অবস্থা হয়। এ ধরনের সমস্যা ভ্রমণকে কষ্টদায়ক করে তোলে।
বমি প্রতিরোধে অনেকেই ভ্রমণের আগে ওষুধ খেয়ে নেন। তবে কিছু খাবারও রয়েছে যা খেলে বমি প্রতিরোধ করা সম্ভব। লাইফস্টাইল ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে এমন কিছু খাবারের নাম।
আদা:
আদা বমি প্রতিরোধী খাদ্য হিসেবে বেশ পরিচিত; এটি হজমের জন্য উপকারী। যদি আপনার বমির সমস্যা হয় তাহলে ভ্রমণের আগে আদার চা খেয়ে নিতে পারেন। গর্ভাবস্থার বমি প্রতিরোধেও এটি কার্যকরী।
পুদিনা
পুদিনার চা বমি বন্ধে বেশ উপকারী। পুদিনা পাতা ভালোভাবে ধুয়ে একটু মধু মিশিয়ে চায়ের সাথে খেতে পারেন। আর পথে থাকলে কিছু পুদিনা পাতা চাবাতেও পারেন। এর গন্ধ বমি বমি ভাব ও বমিরোধে সাহায্য করবে।
দারুচিনি
দারুচিনি বমিনাশক উপাদান হিসেবে উপকারী। আপনি দারুচিনির চা খেতে পারেন। চাইলে স্বাদ বাড়াতে একটু মধুও যোগ করতে পারেন এর সাথে। গর্ভাবস্থার সকালের অসুস্থতা কাটাতে এবং বমি দূর করতে দারুচিনির চা খুব কার্যকরী।
পেঁয়াজের জুস
পেঁয়াজের জুস দ্রুত বমি ভাব থেকে মুক্তি দেয়। পেঁয়াজ এবং আদা থেঁতলে জুস করে একসঙ্গে খেতে পারেন। এটি ভালো কাজ করে।
লবঙ্গ
বমি বমি ভাব ও বমি থামানোর জন্য কিছু লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাবাতে পারেন। এর স্বাদ বাড়াতে একটু মধু যোগ করতে পারেন। পাকস্থলি ভালো রাখতেও লবঙ্গ বেশ উপকারী।
এলাচ
এলাচ চাবানোও দ্রুত বমি রোধে বেশ উপকারী; এটি হজমের জন্য ভালো। আপনি এলাচ ও দারুচিনির চা খেতে পারেন।
গরম লেবুপানি
গরম লেবুর পানিতে একটু লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। মাথাব্যথা, বমি এবং বমিবমি ভাব দূর করতে এই পানি উপকারী।
জিরা
ভ্রমণের আগে জিরার গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি বমি দূর করতে সাহায্য করবে।
মৌরি
মৌরিও বমি বমি ভাব এবং বমি রোধে সাহায্য করে। দ্রুত বমি ভাব দূর করতে কিছু মৌরি চাবাতে পারেন। মৌরির চা পান করতে পারে ভ্রমণের আগে।
ক্রিকেট ইতিহাসে ভারতীয় সমর্থকদের যত অসভ্যতা !
স্পোর্টস
ডেস্ক : কটকের ঘটনাকে ‘লজ্জা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ক্রিকেটের জীবন্ত
কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। ক্রিকেটকে ভদ্রলোকের খেলা বলা হবে, কিন্তু
দর্শকদের আচরণ হবে অভদ্রের, সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভারতের সাবেক
এই অধিনায়ক। কটকের ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন’ বলারও সুযোগ খুব সীমিত। অতীতে
ক্রিকেট ইতিহাস দর্শকদের এমন উগ্র আচরণে কলঙ্কিত হয়েছে অনেকবারই। প্রিয়
দলের মাঠের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে বোতল, পাথর ইত্যাদি ছোড়া,
গ্যালারিতে চার-ছক্কার বোর্ডে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, খেলোয়াড়দের দিকে
খাদ্যসামগ্রীর উচ্ছিষ্ট বর্ষণ থেকে শুরু করে নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে
গালিগালাজ—অতীতে ক্রিকেট দেখেছে এমন অনেক ঘটনাই।
দর্শকদের উগ্র আচরণে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো আসরে খেলা পরিত্যক্তের ঘটনাও নিকট অতীতেরই। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যে ব্যাপারটি সামনে চলে এসেছে তা হলো—এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ভারতীয় দর্শকদের বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ততা। ভারতের মাটিতে ব্যাপারটা মোটামুটি নিয়মিত বলেই কিনা কটকের ঘটনার পর ভারতীয় দলপতির অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পেল এক ধরনের নির্লিপ্ততা। ‘ব্যাপার না’ বলেই তিনি হয়তো বোঝাতে চাইলেন ক্রিকেট মাঠে উচ্ছৃঙ্খল আচরণটা ভারতীয় দর্শকদের মজ্জাগতই।
দর্শকদের উগ্র আচরণে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের মতো আসরে খেলা পরিত্যক্তের ঘটনাও নিকট অতীতেরই। কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে যে ব্যাপারটি সামনে চলে এসেছে তা হলো—এমন উচ্ছৃঙ্খল আচরণে ভারতীয় দর্শকদের বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ততা। ভারতের মাটিতে ব্যাপারটা মোটামুটি নিয়মিত বলেই কিনা কটকের ঘটনার পর ভারতীয় দলপতির অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পেল এক ধরনের নির্লিপ্ততা। ‘ব্যাপার না’ বলেই তিনি হয়তো বোঝাতে চাইলেন ক্রিকেট মাঠে উচ্ছৃঙ্খল আচরণটা ভারতীয় দর্শকদের মজ্জাগতই।
ব্যাপারটা ঠিক বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় না।
ক্রিকেট খেলাটিকে আন্তরিকভাবে ভালোবাসার সুনাম যে দেশের দর্শকদের, তাঁরা
কীভাবে ‘উচ্ছৃঙ্খল’ হন? কিন্তু ক্রিকেট ইতিহাসে দর্শক হাঙ্গামার আখ্যানগুলো
বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সেখানে আসলেই ভারতীয় দর্শকেরা এগিয়ে। ভারতের
মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বারবারই বাধাগ্রস্ত হয়েছে দর্শকদের উগ্র আচরণে।
গত পাঁচ দশকে ভারতের মাটিতে এমন পাঁচটি বড় ঘটনা আছে (কটকের ঘটনা ছাড়াই),
যা ভারতীয় দর্শকদের শৃঙ্খলার ব্যাপারটি প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। এই
৫০ বছরে ভারতে যেখানে এতগুলো দর্শক-উচ্ছৃঙ্খলতার ঘটনা ঘটেছে, টেস্ট খেলা
বাকি দেশগুলোতে সেখানে দর্শক হাঙ্গামার ঘটনা নেই বললেই চলে।
১৯৬৭ সালে দর্শক হাঙ্গামায় কুরুক্ষেত্র কলকাতার ইডেন গার্ডেন।প্রিয় পাঠক, আসুন, একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক ভারতের মাটিতে দর্শক-হাঙ্গামার কয়েকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ে…
ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইডেন টেস্ট, ১৯৬৭১৯৬৭ সালে দর্শক হাঙ্গামায় কুরুক্ষেত্র কলকাতার ইডেন গার্ডেন।প্রিয় পাঠক, আসুন, একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক ভারতের মাটিতে দর্শক-হাঙ্গামার কয়েকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ে…
কলকাতার ইডেন গার্ডেন সেদিন কুরুক্ষেত্র হয়েছিল দর্শকদের অসহনশীল আচরণে। সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এগিয়ে ছিল ১-০ ব্যবধানে। কলকাতা টেস্ট জিতে ভারত সিরিজে ফিরবে—এমন প্রত্যাশা নিয়েই সেদিন মাঠে এসেছিলেন দর্শকেরা। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৬৬ সালে শুরু হওয়া টেস্ট ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পুরো দিন ব্যাট করে রোহান কানহাইয়ের অপরাজিত ৭৮ রানের সুবাদে ক্যারিবীয়রা প্রথম দিন শেষে তুলেছিল ৪ উইকেটে ২১২ রান। দ্বিতীয় দিন সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ধৈর্য হারান দর্শকেরা। গ্যালারির শামিয়ানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ এই পরিস্থিতিতে গ্যালারিতে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে দেয়। দর্শকেরা মাঠে নেমে আসেন। ইডেনের সবুজ চত্বরেই শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ। পরিত্যক্ত হয়ে যায় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা।
ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ব্র্যাবোর্ন টেস্ট, ১৯৬৯
বোম্বের (আজকের মুম্বাই) ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে সেদিন দর্শকেরা ফুঁসে উঠেছিলেন ভারতীয় আম্পায়ার সাম্ভু পানের একটি সিদ্ধান্তে। এমনিতেই দলের অবস্থা খারাপ, তার ওপর এই সিদ্ধান্ত। শ্রীনিবাসন ভেঙ্কটারাঘবনের বিরুদ্ধে সাম্ভু পান কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত দিলে পাথর ছোঁড়া শুরু হয় গ্যালারি থেকে। দর্শকদের খেপিয়ে দিতে ভেঙ্কটারাঘবনের অভিব্যক্তিও সেদিন কম দায়ী ছিল না। তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে নিজের ক্ষুব্ধতা সেদিন চেপে রাখতে পারেননি। দর্শকেরা মাঠে প্রবেশ করা শুরু করলে সেদিনকার মতো খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা ছাড়া উপায় ছিল না আয়োজকদের।মুম্বাইয়ের ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে উগ্র দর্শকদের তাণ্ডব, ১৯৬৯
১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল পণ্ড হয়েছিল কলকাতার ইডেনে।ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা, বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল, ইডেন, ১৯৯৬
এই ঘটনাও ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে আছে। প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কার ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারতের সংগ্রহ একপর্যায়ে ছিল ৯০/১। কিন্তু দলের সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার সাজঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারতীয় দল। ৯০/১ থেকে পরিণত হয় ১২০/৮-এ। কলকাতার দর্শকেরা প্রিয় দলের এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। গ্যালারিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় তুমুল বোতল-বর্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড। ম্যাচে জয়ী ঘোষণা করা হয় শ্রীলঙ্কাকে।
এই ঘটনাও ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে কলঙ্কিত অধ্যায় হয়ে আছে। প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কার ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ভারতের সংগ্রহ একপর্যায়ে ছিল ৯০/১। কিন্তু দলের সেরা ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার সাজঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারতীয় দল। ৯০/১ থেকে পরিণত হয় ১২০/৮-এ। কলকাতার দর্শকেরা প্রিয় দলের এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। গ্যালারিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। শুরু হয় তুমুল বোতল-বর্ষণ। এমন পরিস্থিতিতে খেলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন ম্যাচ রেফারি ক্লাইভ লয়েড। ম্যাচে জয়ী ঘোষণা করা হয় শ্রীলঙ্কাকে।
ভারত বনাম পাকিস্তান, এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, ইডেন, ১৯৯৯হাঙ্গামার পর ১৯৯৯ সালে ইডেন গার্ডেন দর্শকশূন্য করছে পুলিশ।
ইডেনে সেদিন ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার টেস্ট দেখতে উপস্থিত ছিলেন ৬৫ হাজার দর্শক। ম্যাচের তৃতীয় দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২৭৯ রান। একপর্যায়ে স্কোর তরতরিয়ে উঠে গেল ১৪৩/২-এ। গোল বাধে ঠিক তখনই। শচীন টেন্ডুলকার একটি বল রান নিতে গিয়ে বাধার ধাক্কা খান বোলার শোয়েব আকতারের সঙ্গে। পাকিস্তানের ফিল্ডার নাদিম খান এই সুযোগে ভারতের মাস্টার-ব্লাস্টারকে রানআউট করে দিলে ইডেনের দর্শকেরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। টেন্ডুলকারের আউটের জন্য শোয়েব আকতারকে দায়ী করে তাঁর ওপর শুরু হয় বোতল ছোঁড়া। ক্রমশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) হস্তক্ষেপে পুরো স্টেডিয়াম দর্শকশূন্য করার অভিযান শুরু করে পুলিশ। ইডেনের বিশাল গ্যালারি দর্শকশূন্য করে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর খেলা মাঠে গড়ালেও ঘটনাটি লজ্জায় ফেলেছিল ক্রিকেট-বোদ্ধা ও অনুরাগী সবাইকে।
২০০২ সালে জামশেদপুরের কিনান স্টেডিয়ামে বোতল-বৃষ্টি।ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ওয়ানডে ম্যাচ, জামশেদপুর, ২০০২ মোটামুটি ভালো সংগ্রহের পরেও ম্যাচটা সেদিন হেরেছিল ভারত। ক্যারিবীয়রা জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতেই জামশেদপুরের কিনান স্টেডিয়ামে দর্শকেরা মাঠে বোতল ছোড়া শুরু করেন। তাঁদের ক্ষোভটা মূলত ছিল ভারতীয় বোলারদের ওপরই। বড় স্কোর করেও ম্যাচটা জিততে না পারার আফসোসের বহিঃপ্রকাশ তাঁরা ঘটান উগ্র আচরণে। এমন পরিস্থিতিতে জান বাঁচানোই আবশ্যক মনে হয়েছিল ম্যাচ রেফারির। তিনি ম্যাচ সেখানেই বন্ধ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।
ইডেনে সেদিন ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনার টেস্ট দেখতে উপস্থিত ছিলেন ৬৫ হাজার দর্শক। ম্যাচের তৃতীয় দিনে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২৭৯ রান। একপর্যায়ে স্কোর তরতরিয়ে উঠে গেল ১৪৩/২-এ। গোল বাধে ঠিক তখনই। শচীন টেন্ডুলকার একটি বল রান নিতে গিয়ে বাধার ধাক্কা খান বোলার শোয়েব আকতারের সঙ্গে। পাকিস্তানের ফিল্ডার নাদিম খান এই সুযোগে ভারতের মাস্টার-ব্লাস্টারকে রানআউট করে দিলে ইডেনের দর্শকেরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। টেন্ডুলকারের আউটের জন্য শোয়েব আকতারকে দায়ী করে তাঁর ওপর শুরু হয় বোতল ছোঁড়া। ক্রমশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে থাকলে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের (সিএবি) হস্তক্ষেপে পুরো স্টেডিয়াম দর্শকশূন্য করার অভিযান শুরু করে পুলিশ। ইডেনের বিশাল গ্যালারি দর্শকশূন্য করে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর খেলা মাঠে গড়ালেও ঘটনাটি লজ্জায় ফেলেছিল ক্রিকেট-বোদ্ধা ও অনুরাগী সবাইকে।
২০০২ সালে জামশেদপুরের কিনান স্টেডিয়ামে বোতল-বৃষ্টি।ভারত বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ওয়ানডে ম্যাচ, জামশেদপুর, ২০০২ মোটামুটি ভালো সংগ্রহের পরেও ম্যাচটা সেদিন হেরেছিল ভারত। ক্যারিবীয়রা জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতেই জামশেদপুরের কিনান স্টেডিয়ামে দর্শকেরা মাঠে বোতল ছোড়া শুরু করেন। তাঁদের ক্ষোভটা মূলত ছিল ভারতীয় বোলারদের ওপরই। বড় স্কোর করেও ম্যাচটা জিততে না পারার আফসোসের বহিঃপ্রকাশ তাঁরা ঘটান উগ্র আচরণে। এমন পরিস্থিতিতে জান বাঁচানোই আবশ্যক মনে হয়েছিল ম্যাচ রেফারির। তিনি ম্যাচ সেখানেই বন্ধ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।
Wednesday, October 7, 2015
নভেম্বরে আসছে জিম্বাবুয়ে
সব কিছু ঠিক থাকলে এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত
থাকতেন সাকিব-মুশফিকরা। কিন্তু ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’র কারণে বাংলাদেশ সফর
স্থগিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টের সিরিজটির সামনে তাই বিরাট
প্রশ্নচিহ্ণ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে
না বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। আগামী মাসেই বাংলাদেশে এসে দুটো টেস্ট
খেলবে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান
জানিয়েছেন এ তথ্য।
আগামী জানুয়ারিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এমনিতেই বাংলাদেশে আসার কথা জিম্বাবুয়ের। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তার দুই মাস আগেই চলে আসবে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য একটানা থাকবে না। টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফিরে যাবে জিম্বাবুইয়ানরা। জানুয়ারিতে আসবে আবার।
বুধবার বিসিবির জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা নভেম্বরে আসতে রাজি হয়েছে। ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসির সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আগামী জানুয়ারিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এমনিতেই বাংলাদেশে আসার কথা জিম্বাবুয়ের। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তার দুই মাস আগেই চলে আসবে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য একটানা থাকবে না। টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফিরে যাবে জিম্বাবুইয়ানরা। জানুয়ারিতে আসবে আবার।
বুধবার বিসিবির জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা নভেম্বরে আসতে রাজি হয়েছে। ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসির সভায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
জোনাকী পোকার আলোর রহস্য
শহরে যারা থাকেন, তাদের কথা তো জানিনা- কিন্তু গ্রামাঞ্চলের দিকে যারা
থাকেন বা কোন এক সময় থেকেছেন তাদের জোনাকী দেখার কথা। আমার যতদূর মন পড়ে,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের দিকে সন্ধ্যায় গ্রামে জোনাকি উড়তে দেখেছি।
টিমটিমে আলোর অপূর্ব শোভা দেখিয়ে তাদের
এদিকওদিকে ঘুরে বেড়ানো রাতে প্রকৃতিতে অনন্য দৃশ্যের অবতারণা করে। খুব কাছ
থেকে না দেখলে এদের এই আলো সবার কাছে একটা রহস্যই থেকে যায়।
যারা দেখেছেন তাদের মনে কি আদৌ প্রশ্ন জাগেনি যে- এই স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ দ্যুতির সত্যিকারের রহস্য কি? আসে কোত্থেকে এই আলো ?
আজ ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা নিবন্ধ লিখব। তাই উইকিপিডিয়া আর গুগলে লাঙল নামিয়ে দিলাম।খুব কাছ থেকে তোলা ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন এই রহস্যের উৎপত্তি সম্পর্কে। দেখা যায় যে, এই পতঙ্গটির তলপেটের দিক থেকে এই আলোর উৎপত্তি। বাস্তবিকই তাই। জোনাকির বা Lampyris noctiluca এর তলপেটের শেষের দিকে আলাদা একটি উপাঙ্গ আছে, যেখান থেকে এই আলোর উৎপত্তি হয়। এই প্রত্যঙ্গ হতে লুসিফেরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয় যা জোনাকির শ্বাসনালী দ্বারা গৃহীত অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। এই জারণ বা অক্সিডেশনে লুসিফারেজ নামক জৈবঅনুঘটক বা এনজাইম সহায়তা করে। জারণ বিক্রিয়াটিতে যে পরিমাণ শক্তি বা আলো উৎপন্ন হয়, তার মাত্র ২% হল তাপ। তাই এই আলো এতটা স্নিগ্ধ মনে হয়। ঐ বিশেষ অঙ্গটির স্নায়ু দ্বারা এই আলোর স্থায়িত্ব নিয়ন্ত্রিত হয়।
এই আলো তারা ব্যবহার করে তাদের বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে। স্ত্রী প্রজাতির জোনাকিরা এই আলো দিয়ে পুরুষ জোনাকিকে আকর্ষণ করে, ডিম পাড়ে এবং মারা যায়। নিষেকের পর লার্ভা দশায় অনেকদিন অবস্থান করতে হয় তাদের। তবে এই আকর্ষণের ব্যাপারটা প্রজাতিভেদে ভিন্ন। যেমন, আমেরিকায় এক প্রকারের জোনাকি আছে, যাদের পুরুষ প্রজাতি পাঁচ সেকেন্ড অন্তর জ্বলে উঠে, আর এর প্রতিক্রিয়ায় মাটিতে অপেক্ষমান স্ত্রী জোনাকি দুই সেকেন্ড পর পর জ্বলে উঠে। এভাবে তারা মিলন সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করে।
যারা দেখেছেন তাদের মনে কি আদৌ প্রশ্ন জাগেনি যে- এই স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ দ্যুতির সত্যিকারের রহস্য কি? আসে কোত্থেকে এই আলো ?
আজ ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা নিবন্ধ লিখব। তাই উইকিপিডিয়া আর গুগলে লাঙল নামিয়ে দিলাম।খুব কাছ থেকে তোলা ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন এই রহস্যের উৎপত্তি সম্পর্কে। দেখা যায় যে, এই পতঙ্গটির তলপেটের দিক থেকে এই আলোর উৎপত্তি। বাস্তবিকই তাই। জোনাকির বা Lampyris noctiluca এর তলপেটের শেষের দিকে আলাদা একটি উপাঙ্গ আছে, যেখান থেকে এই আলোর উৎপত্তি হয়। এই প্রত্যঙ্গ হতে লুসিফেরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয় যা জোনাকির শ্বাসনালী দ্বারা গৃহীত অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। এই জারণ বা অক্সিডেশনে লুসিফারেজ নামক জৈবঅনুঘটক বা এনজাইম সহায়তা করে। জারণ বিক্রিয়াটিতে যে পরিমাণ শক্তি বা আলো উৎপন্ন হয়, তার মাত্র ২% হল তাপ। তাই এই আলো এতটা স্নিগ্ধ মনে হয়। ঐ বিশেষ অঙ্গটির স্নায়ু দ্বারা এই আলোর স্থায়িত্ব নিয়ন্ত্রিত হয়।
এই আলো তারা ব্যবহার করে তাদের বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে। স্ত্রী প্রজাতির জোনাকিরা এই আলো দিয়ে পুরুষ জোনাকিকে আকর্ষণ করে, ডিম পাড়ে এবং মারা যায়। নিষেকের পর লার্ভা দশায় অনেকদিন অবস্থান করতে হয় তাদের। তবে এই আকর্ষণের ব্যাপারটা প্রজাতিভেদে ভিন্ন। যেমন, আমেরিকায় এক প্রকারের জোনাকি আছে, যাদের পুরুষ প্রজাতি পাঁচ সেকেন্ড অন্তর জ্বলে উঠে, আর এর প্রতিক্রিয়ায় মাটিতে অপেক্ষমান স্ত্রী জোনাকি দুই সেকেন্ড পর পর জ্বলে উঠে। এভাবে তারা মিলন সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করে।
আকাশসীমা লঙ্ঘন : মস্কোকে এরদোগানের হুশিয়ারি
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, রুশ যুদ্ধবিমান বারবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় তিনি মস্কোর ব্যবহারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এর ফলে রাশিয়া আঙ্কারার বন্ধুত্ব হারাতে পারে। তিনি বলেন, তুরস্কের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অর্থ হচ্ছে নেটো জোটের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।
সিরিয়া থেকে রুশ যুদ্ধবিমানের তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশ নিয়ে নেটো এবং তুরস্ক উভয়েই মস্কোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
নেটো বলছে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাটি দেখে কোনো দুর্ঘটনা বলে মনে হয়নি। নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বলেছেন, ওই ঘটনার বিষয়ে রাশিয়া বাস্তব কোনো ব্যাখ্যা এখনো দিতে পারেনি।
সিরিয়া সরকারের সমর্থনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে তুরস্ক এবং নেটো।
রাশিয়া বলছে, শনিবারের সেই অনুপ্রবেশটি ছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং খুবই স্বল্পসময়ের জন্য। রোববারের আরেকটি অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়েও তারা তদন্ত করছে বলে জানায় রাশিয়া।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় বিমান হামলা সমন্বয়ের বিষয়ে একটি যৌথ সামরিক কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পরামর্শ দিয়েছে তুরস্ক। তবে আঙ্কারা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।
বিভিন্ন দেশের মেয়েদের যেভাবে খাৎনা (মুসলমানি) দেওয়া হয়ঃ-
![]() |
মেয়েদের খতনা |
এ সমস্ত শোষনের মধ্যে একটি শোষনের নাম হল নারী খৎনা। এটি কম বেশি পুরো পৃথিবীতেই প্রচলিত আছে, তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে। পুরুষ খৎনার সাথেও সবাই পরিচিত। তবে এটি নারী খৎনার মত ভয়ঙ্কর ও ক্ষতিকর নয়। (DW.DE) এর এক নিউজে দেখলাম, এ অমানবিক প্রথা বন্ধের উদ্দেশ্যে একটি বিশ্বব্যাপি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে জাতিসংঘ। তবে সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে নারী খৎনা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। স্ত্রী যৌনাঙ্গের আংশিক কিংবা পুরোপুরি অপসারণের পদ্ধতিকে নারী খৎনা বলে। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা এ পদ্ধতিকে চার ভাগে ভাগ করেছে।
ফেসবুকে আমি
পদ্ধতি ১:মেয়েদের যৌনাঙ্গের রন্ধ্র ও জি-স্পটের পাশাপাশি সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থানটি হল ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর। এটিই একমাত্র অঙ্গ যা যৌন অনুভূতি ছাড়া আর কোন শারীরিক কাজ নেই। মেয়েদের পুলক বা অর্গাজমের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ পদ্ধতিতে মেয়েদের এই ভগাঙ্কুরের সম্পূর্ণ অগ্রভাগ বা লম্বালম্বি কেটে অপসারণ করা হয়।
পদ্ধতি ২: এ পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর অপসারণ করা হয়। সেই সাথে লেবিয়া মাইনরার আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ করা হয়।
পদ্ধতি ৩:
এ পদ্ধতিটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এর বিবরণ প্রথম যখন পড়েছিলাম তখন আমার গাঁয়ের লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল। এতটাই অমানবিক এই পদ্ধতিটা। বহিরযৌনাঙ্গের বিশেষ অংশ অপসারণ বা পুরোটাই অপসারণ এবং যোনিদ্বারকে সেলাই করে চিকন করে ফেলা হয়। লেবিয়া মেজরার ভেতরের অংশসহ পুরো লেবিয়া মাইনরা কেটে ফেলা হয়। পরে লেবিয়া মেজরা সেলাই করে দেওয়া হয়। নড়াচড়া করতে না পারে মত মেয়েটির পা দুই থেকে ছয় সপ্তাহ বেঁধে রাখা হয়। পিউবিস থেকে মলদ্বার পর্যন্ত মাংস প্রাচীর ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। প্রস্রাব ও রজঃস্রাবের রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে মত ভালভার নিচের দিকে একটি জায়গা খোলা রাখা হয়। বিস্তারিত জানতে নেটে infibulation লিখে সার্চ দিতে পারেন।
পদ্ধতি ৪:
এ পদ্ধতিতে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মত কোন টিস্যু অপসারণ করা হয় না। এ পদ্ধতিতে যা পরে তা হল; ভগাঙ্কুরে সুচ ফোটানো, যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলা বা ক্ষত সৃষ্টি করা এবং যোনিতে তৃণলতা প্রবেশ করানো যাতে রক্তপাত হয় এবং যোনিদ্বার চিকন হয়।
এ অমানবিক প্রথা মূলত মুসলিম, খ্রিস্টান ও সর্বপ্রাণবাদীদের মধ্যে প্রচলিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা যায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ২৯টি দেশে প্রতি বছর ১২ কোটি নারী খৎনার যেকোন একটি প্রক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। এটি মূলত পুরুষদের যৌন সুখ বৃদ্ধি এবং নারীর কুমারীত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন সামাজিক ভ্রান্ত কারনে প্রচলিত।
যার কোন উপকারীতা তো নেই বরং শারীরিক ভাবে মেয়েদের বিকৃত করে দেওয়া হচ্ছে। এ প্রথা দূরীকরনে সম্প্রতি এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সচিব বান কি মুন গত বৃহস্পতিবার কেনিয়ার রাজধানি নাইরোবিতে এ ক্যাম্পেইন বা প্রচারের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন,
“সতীত্বের প্রমাণ হিসেবে নারীর এই যৌনাঙ্গচ্ছেদ বন্ধে পুরুষদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে এবং যারা বন্ধ করবেন বা করতে সাহায্য করবেন তাদের প্রশংসা করতে হবে।“
তিনি আরো বলেন, “এই প্রজন্মেই এই ধারা বা রীতি বন্ধ করতে হবে এবং এই অভ্যাসের যেন এখানেই সমাপ্তি হয়। কেননা এর ফলে নারীদের জীবনে নরকের অশান্তি নেমে আসে।“
জানি না এই উদ্যোগ কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পারবে। জাতিসংঘের এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি। পৃথিবীর বুক থেকে সকল বৈষম্য দূর হোক এবং মানবতার জয় হোক।
বাংলাদেশের সামরিক শক্তি
Subscribe to:
Posts (Atom)