সব কিছু ঠিক থাকলে এ মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত
থাকতেন সাকিব-মুশফিকরা। কিন্তু ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি’র কারণে বাংলাদেশ সফর
স্থগিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্টের সিরিজটির সামনে তাই বিরাট
প্রশ্নচিহ্ণ। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য বেশিদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে
না বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের। আগামী মাসেই বাংলাদেশে এসে দুটো টেস্ট
খেলবে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান
জানিয়েছেন এ তথ্য।
আগামী জানুয়ারিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এমনিতেই বাংলাদেশে আসার কথা
জিম্বাবুয়ের। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ স্থগিত হয়ে যাওয়ায় তার দুই মাস আগেই চলে
আসবে আফ্রিকার দেশটি। অবশ্য একটানা থাকবে না। টেস্ট সিরিজ খেলে দেশে ফিরে
যাবে জিম্বাবুইয়ানরা। জানুয়ারিতে আসবে আবার।
বুধবার বিসিবির জরুরি বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান বলেছেন,
‘জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা নভেম্বরে আসতে
রাজি হয়েছে। ৯ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসির সভায় এ ব্যাপারে
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
Wednesday, October 7, 2015
জোনাকী পোকার আলোর রহস্য
শহরে যারা থাকেন, তাদের কথা তো জানিনা- কিন্তু গ্রামাঞ্চলের দিকে যারা
থাকেন বা কোন এক সময় থেকেছেন তাদের জোনাকী দেখার কথা। আমার যতদূর মন পড়ে,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের দিকে সন্ধ্যায় গ্রামে জোনাকি উড়তে দেখেছি।
টিমটিমে আলোর অপূর্ব শোভা দেখিয়ে তাদের
এদিকওদিকে ঘুরে বেড়ানো রাতে প্রকৃতিতে অনন্য দৃশ্যের অবতারণা করে। খুব কাছ
থেকে না দেখলে এদের এই আলো সবার কাছে একটা রহস্যই থেকে যায়।
যারা দেখেছেন তাদের মনে কি আদৌ প্রশ্ন জাগেনি যে- এই স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ দ্যুতির সত্যিকারের রহস্য কি? আসে কোত্থেকে এই আলো ?
আজ ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা নিবন্ধ লিখব। তাই উইকিপিডিয়া আর গুগলে লাঙল নামিয়ে দিলাম।খুব কাছ থেকে তোলা ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন এই রহস্যের উৎপত্তি সম্পর্কে। দেখা যায় যে, এই পতঙ্গটির তলপেটের দিক থেকে এই আলোর উৎপত্তি। বাস্তবিকই তাই। জোনাকির বা Lampyris noctiluca এর তলপেটের শেষের দিকে আলাদা একটি উপাঙ্গ আছে, যেখান থেকে এই আলোর উৎপত্তি হয়। এই প্রত্যঙ্গ হতে লুসিফেরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয় যা জোনাকির শ্বাসনালী দ্বারা গৃহীত অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। এই জারণ বা অক্সিডেশনে লুসিফারেজ নামক জৈবঅনুঘটক বা এনজাইম সহায়তা করে। জারণ বিক্রিয়াটিতে যে পরিমাণ শক্তি বা আলো উৎপন্ন হয়, তার মাত্র ২% হল তাপ। তাই এই আলো এতটা স্নিগ্ধ মনে হয়। ঐ বিশেষ অঙ্গটির স্নায়ু দ্বারা এই আলোর স্থায়িত্ব নিয়ন্ত্রিত হয়।
এই আলো তারা ব্যবহার করে তাদের বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে। স্ত্রী প্রজাতির জোনাকিরা এই আলো দিয়ে পুরুষ জোনাকিকে আকর্ষণ করে, ডিম পাড়ে এবং মারা যায়। নিষেকের পর লার্ভা দশায় অনেকদিন অবস্থান করতে হয় তাদের। তবে এই আকর্ষণের ব্যাপারটা প্রজাতিভেদে ভিন্ন। যেমন, আমেরিকায় এক প্রকারের জোনাকি আছে, যাদের পুরুষ প্রজাতি পাঁচ সেকেন্ড অন্তর জ্বলে উঠে, আর এর প্রতিক্রিয়ায় মাটিতে অপেক্ষমান স্ত্রী জোনাকি দুই সেকেন্ড পর পর জ্বলে উঠে। এভাবে তারা মিলন সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করে।
যারা দেখেছেন তাদের মনে কি আদৌ প্রশ্ন জাগেনি যে- এই স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ দ্যুতির সত্যিকারের রহস্য কি? আসে কোত্থেকে এই আলো ?
আজ ভাবলাম, এই বিষয়ে একটা নিবন্ধ লিখব। তাই উইকিপিডিয়া আর গুগলে লাঙল নামিয়ে দিলাম।খুব কাছ থেকে তোলা ছবিতে দেখলে বুঝতে পারবেন এই রহস্যের উৎপত্তি সম্পর্কে। দেখা যায় যে, এই পতঙ্গটির তলপেটের দিক থেকে এই আলোর উৎপত্তি। বাস্তবিকই তাই। জোনাকির বা Lampyris noctiluca এর তলপেটের শেষের দিকে আলাদা একটি উপাঙ্গ আছে, যেখান থেকে এই আলোর উৎপত্তি হয়। এই প্রত্যঙ্গ হতে লুসিফেরিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরিত হয় যা জোনাকির শ্বাসনালী দ্বারা গৃহীত অক্সিজেন দ্বারা জারিত হয়। এই জারণ বা অক্সিডেশনে লুসিফারেজ নামক জৈবঅনুঘটক বা এনজাইম সহায়তা করে। জারণ বিক্রিয়াটিতে যে পরিমাণ শক্তি বা আলো উৎপন্ন হয়, তার মাত্র ২% হল তাপ। তাই এই আলো এতটা স্নিগ্ধ মনে হয়। ঐ বিশেষ অঙ্গটির স্নায়ু দ্বারা এই আলোর স্থায়িত্ব নিয়ন্ত্রিত হয়।
এই আলো তারা ব্যবহার করে তাদের বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষণ করতে। স্ত্রী প্রজাতির জোনাকিরা এই আলো দিয়ে পুরুষ জোনাকিকে আকর্ষণ করে, ডিম পাড়ে এবং মারা যায়। নিষেকের পর লার্ভা দশায় অনেকদিন অবস্থান করতে হয় তাদের। তবে এই আকর্ষণের ব্যাপারটা প্রজাতিভেদে ভিন্ন। যেমন, আমেরিকায় এক প্রকারের জোনাকি আছে, যাদের পুরুষ প্রজাতি পাঁচ সেকেন্ড অন্তর জ্বলে উঠে, আর এর প্রতিক্রিয়ায় মাটিতে অপেক্ষমান স্ত্রী জোনাকি দুই সেকেন্ড পর পর জ্বলে উঠে। এভাবে তারা মিলন সংক্রান্ত তথ্য আদান প্রদান করে।
আকাশসীমা লঙ্ঘন : মস্কোকে এরদোগানের হুশিয়ারি
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান বলেছেন, রুশ যুদ্ধবিমান বারবার তুরস্কের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় তিনি মস্কোর ব্যবহারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছেন।
প্রেসিডেন্ট এরদোগান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এর ফলে রাশিয়া আঙ্কারার বন্ধুত্ব হারাতে পারে। তিনি বলেন, তুরস্কের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অর্থ হচ্ছে নেটো জোটের বিরুদ্ধে আগ্রাসন।
সিরিয়া থেকে রুশ যুদ্ধবিমানের তুরস্কের আকাশসীমায় প্রবেশ নিয়ে নেটো এবং তুরস্ক উভয়েই মস্কোর ওপর চাপ বাড়াচ্ছে।
নেটো বলছে, আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাটি দেখে কোনো দুর্ঘটনা বলে মনে হয়নি। নেটোর মহাসচিব ইয়েন্স স্টল্টেনবার্গ বলেছেন, ওই ঘটনার বিষয়ে রাশিয়া বাস্তব কোনো ব্যাখ্যা এখনো দিতে পারেনি।
সিরিয়া সরকারের সমর্থনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কঠোর বিরোধিতা করে আসছে তুরস্ক এবং নেটো।
রাশিয়া বলছে, শনিবারের সেই অনুপ্রবেশটি ছিল খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং খুবই স্বল্পসময়ের জন্য। রোববারের আরেকটি অনুপ্রবেশের অভিযোগ নিয়েও তারা তদন্ত করছে বলে জানায় রাশিয়া।
রুশ সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সিরিয়ায় বিমান হামলা সমন্বয়ের বিষয়ে একটি যৌথ সামরিক কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পরামর্শ দিয়েছে তুরস্ক। তবে আঙ্কারা বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করেনি।
বিভিন্ন দেশের মেয়েদের যেভাবে খাৎনা (মুসলমানি) দেওয়া হয়ঃ-
![]() |
মেয়েদের খতনা |
এ সমস্ত শোষনের মধ্যে একটি শোষনের নাম হল নারী খৎনা। এটি কম বেশি পুরো পৃথিবীতেই প্রচলিত আছে, তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় আফ্রিকা ও মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোতে। পুরুষ খৎনার সাথেও সবাই পরিচিত। তবে এটি নারী খৎনার মত ভয়ঙ্কর ও ক্ষতিকর নয়। (DW.DE) এর এক নিউজে দেখলাম, এ অমানবিক প্রথা বন্ধের উদ্দেশ্যে একটি বিশ্বব্যাপি ক্যাম্পেইন শুরু করেছে জাতিসংঘ। তবে সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে নারী খৎনা নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক। স্ত্রী যৌনাঙ্গের আংশিক কিংবা পুরোপুরি অপসারণের পদ্ধতিকে নারী খৎনা বলে। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থা এ পদ্ধতিকে চার ভাগে ভাগ করেছে।
ফেসবুকে আমি
পদ্ধতি ১:মেয়েদের যৌনাঙ্গের রন্ধ্র ও জি-স্পটের পাশাপাশি সবচেয়ে স্পর্শকাতর স্থানটি হল ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর। এটিই একমাত্র অঙ্গ যা যৌন অনুভূতি ছাড়া আর কোন শারীরিক কাজ নেই। মেয়েদের পুলক বা অর্গাজমের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ পদ্ধতিতে মেয়েদের এই ভগাঙ্কুরের সম্পূর্ণ অগ্রভাগ বা লম্বালম্বি কেটে অপসারণ করা হয়।
পদ্ধতি ২: এ পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ ভগাঙ্কুর অপসারণ করা হয়। সেই সাথে লেবিয়া মাইনরার আংশিক বা সম্পূর্ণ অপসারণ করা হয়।
পদ্ধতি ৩:
এ পদ্ধতিটা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। এর বিবরণ প্রথম যখন পড়েছিলাম তখন আমার গাঁয়ের লোম খাড়া হয়ে গিয়েছিল। এতটাই অমানবিক এই পদ্ধতিটা। বহিরযৌনাঙ্গের বিশেষ অংশ অপসারণ বা পুরোটাই অপসারণ এবং যোনিদ্বারকে সেলাই করে চিকন করে ফেলা হয়। লেবিয়া মেজরার ভেতরের অংশসহ পুরো লেবিয়া মাইনরা কেটে ফেলা হয়। পরে লেবিয়া মেজরা সেলাই করে দেওয়া হয়। নড়াচড়া করতে না পারে মত মেয়েটির পা দুই থেকে ছয় সপ্তাহ বেঁধে রাখা হয়। পিউবিস থেকে মলদ্বার পর্যন্ত মাংস প্রাচীর ছাড়া কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। প্রস্রাব ও রজঃস্রাবের রক্ত বেরিয়ে যেতে পারে মত ভালভার নিচের দিকে একটি জায়গা খোলা রাখা হয়। বিস্তারিত জানতে নেটে infibulation লিখে সার্চ দিতে পারেন।
পদ্ধতি ৪:
এ পদ্ধতিতে উপরোক্ত পদ্ধতিগুলোর মত কোন টিস্যু অপসারণ করা হয় না। এ পদ্ধতিতে যা পরে তা হল; ভগাঙ্কুরে সুচ ফোটানো, যৌনাঙ্গ পুড়িয়ে ফেলা বা ক্ষত সৃষ্টি করা এবং যোনিতে তৃণলতা প্রবেশ করানো যাতে রক্তপাত হয় এবং যোনিদ্বার চিকন হয়।
এ অমানবিক প্রথা মূলত মুসলিম, খ্রিস্টান ও সর্বপ্রাণবাদীদের মধ্যে প্রচলিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক জরিপে দেখা যায় আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ২৯টি দেশে প্রতি বছর ১২ কোটি নারী খৎনার যেকোন একটি প্রক্রিয়ার শিকার হচ্ছে। এটি মূলত পুরুষদের যৌন সুখ বৃদ্ধি এবং নারীর কুমারীত্ব বজায় রাখাসহ বিভিন্ন সামাজিক ভ্রান্ত কারনে প্রচলিত।
যার কোন উপকারীতা তো নেই বরং শারীরিক ভাবে মেয়েদের বিকৃত করে দেওয়া হচ্ছে। এ প্রথা দূরীকরনে সম্প্রতি এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সচিব বান কি মুন গত বৃহস্পতিবার কেনিয়ার রাজধানি নাইরোবিতে এ ক্যাম্পেইন বা প্রচারের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন,
“সতীত্বের প্রমাণ হিসেবে নারীর এই যৌনাঙ্গচ্ছেদ বন্ধে পুরুষদের মুখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে এবং যারা বন্ধ করবেন বা করতে সাহায্য করবেন তাদের প্রশংসা করতে হবে।“
তিনি আরো বলেন, “এই প্রজন্মেই এই ধারা বা রীতি বন্ধ করতে হবে এবং এই অভ্যাসের যেন এখানেই সমাপ্তি হয়। কেননা এর ফলে নারীদের জীবনে নরকের অশান্তি নেমে আসে।“
জানি না এই উদ্যোগ কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পারবে। জাতিসংঘের এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি। পৃথিবীর বুক থেকে সকল বৈষম্য দূর হোক এবং মানবতার জয় হোক।
বাংলাদেশের সামরিক শক্তি
Subscribe to:
Posts (Atom)